Quran translations in many languages

Bengali Quran

Al-Hajj

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়অতি দয়ালু

[22:1]

হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার

[22:2]

যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবেসেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতালঅথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন

[22:3]

কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পêেক বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে

[22:4]

শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যেযে কেউ তার সাথী হবেসে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকেপরিচালিত করবে

[22:5]

হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হওতবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকেএরপর জমাট রক্ত থেকেএরপরপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকেতোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেইএরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করিতারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাওঅতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করিতখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে

[22:6]

এগুলো এ কারণে যেআল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান

[22:7]

এবং এ কারণে যেকেয়ামত অবশ্যম্ভাবীএতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যেকবরে যারা আছেআল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন

[22:8]

কতক মানুষ জ্ঞানপ্রমাণ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে

[22:9]

সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করেযাতে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করাব

[22:10]

এটা তোমার দুই হাতের কর্মের কারণেআল্লাহ বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না

[22:11]

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়েতবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ইহকালে ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত। এটাই প্রকাশ্য ক্ষতি

[22:12]

সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকেযে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরমপথভ্রষ্টতা

[22:13]

সে এমন কিছুকে ডাকেযার অপকার উপকারের আগে পৌছে। কত মন্দ এই বন্ধু এবং কত মন্দ এই সঙ্গী

[22:14]

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও ৎকর্ম সম্পাদন করেআল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেনযার তলদেশ দিয়েনির্ঝরণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন

[22:15]

সে ধারণা করে যেআল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন নাসে একটি রশি আকাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে নিকএরপর কেটে দিকঅতঃপর দেখুক তার এই কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা

[22:16]

এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন

[22:17]

যারা মুসলমানযারা ইহুদীসাবেয়ীখ্রীষ্টানঅগ্নিপুজক এবং যারা মুশরেককেয়ামতের দিন আল্লাহ অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। সবকিছুই আল্লাহর দৃষ্টির সামনে

[22:18]

তুমি কি দেখনি যেআল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলেযা কিছু আছে ভুমন্ডলেসূর্যচন্দ্রতারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতাজীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেনতাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন [ Sajdah ]

[22:19]

এই দুই বাদী বিবাদীতারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফেরতাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে

[22:20]

ফলে তাদের পেটে যা আছেতা এবং চর্ম গলে বের হয়ে যাবে

[22:21]

তাদের জন্যে আছে লোহার হাতুড়ি

[22:22]

তারা যখনই যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবেতখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বলা হবেঃ দহন শাস্তি আস্বাদন কর

[22:23]

নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করেআল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন উদ্যান সমূহেযার তলদেশ দিয়েনির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তাদেরকে তথায় স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং তথায় তাদের পোশাক হবে রেশমী

[22:24]

তারা পথপ্রদর্শিত হয়েছিল ৎবাক্যের দিকে এবং পরিচালিত হয়েছিল প্রশংসিত আল্লাহর পথপানে

[22:25]

যারা কুফর করে ও আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সেই মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়যাকে আমি প্রস্তুত করেছিস্থানীয় ও বহিরাগত সকল মানুষের জন্যে সমভাবে এবং যে মসজিদে হারামে অন্যায়ভাবে কোন ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচছা করেআমি তাদেরকে যন্ত্রানাদায়ক শাস্তি আস্বাদনকরাব

[22:26]

যখন আমি ইব্রাহীমকে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়েছিলাম যেআমার সাথে কাউকে শরীক করো না এবংআমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্যেনামাযে দন্ডায়মানদের জন্যে এবং রকু সেজদাকারীদের জন্যে

[22:27]

এবং মানুষের মধ্যে হজ্বের জন্যে ঘোষণা প্রচার কর। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে

[22:28]

যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও

[22:29]

এরপর তারা যেন দৈহিক ময়লা দূর করে দেয়তাদের মানত পূর্ণ করে এবং এই সুসংরক্ষিত গৃহের তাওয়াফ করে

[22:30]

এটা শ্রবণযোগ্য। আর কেউ আল্লাহর সম্মানযোগ্য বিধানাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে পালনকর্তার নিকট তা তার জন্যে উত্তম। উল্লেখিত ব্যতিক্রমগুলো ছাড়া তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যাকথন থেকে দূরে সরে থাক;

[22:31]

আল্লাহর দিকে একনিষ্ট হয়েতাঁর সাথে শরীক না করেএবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলসে যেন আকাশ থেকেছিটকে পড়লঅতঃপর মৃতভোজী পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোন দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল

[22:32]

এটা শ্রবণযোগ্য কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত

[22:33]

চতুস্পদ জন্তুসমূহের মধ্যে তোমাদের জন্যে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত উপকার রয়েছে। অতঃপর এগুলোকে পৌছাতে হবে মুক্ত গৃহ পর্যন্ত

[22:34]

আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছিযাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময়আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;

[22:35]

যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে এবং যারা নামায কায়েম করে ও আমি যা দিয়েছিতা থেকে ব্যয় করে

[22:36]

এবং কাবার জন্যে উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্যে আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্যে মঙ্গল রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে বাঁধা অবস্থায় তাদের যবেহ করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। অতঃপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে তোমরা আহার কর এবং আহার করাও যে কিছু যাচ্ঞা করে না তাকে এবং যে যাচ্ঞা করে তাকে। এমনিভাবে আমিএগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছিযাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর

[22:37]

এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে নাকিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনিএগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেনযাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যেতিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন

[22:38]

আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন। আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না

[22:39]

যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করেকারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম

[22:40]

যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যেতারা বলে আমাদের পালনকর্তাআল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেনতবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জাএবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেতযেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেনযারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর

[22:41]

তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থদান করলে তারা নামায কায়েম করবেযাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। প্রত্যেক কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভূক্ত

[22:42]

তারা যদি আপনাকে মিথ্যাবাদী বলেতবে তাদের পূর্বে মিথ্যাবাদী বলেছে কওমে নূহআদসামুদ,

[22:43]

ইব্রাহীম ও লূতের সম্প্রদায়ও

[22:44]

এবং মাদইয়ানের অধিবাসীরা এবং মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল মূসাকেও। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে সুযোগ দিয়েছিলাম এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম অতএব কি ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকৃতির পরিণাম

[22:45]

আমি কত জনপদ ধ্বংস করেছি এমতাবস্থায় যেতারা ছিল গোনাহগার। এই সব জনপদ এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছেএবং কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে ও কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে

[22:46]

তারা কি এই উদ্দেশ্যে দেশ ভ্রমণ করেনিযাতে তারা সমঝদার হৃদয় ও শ্রবণ শক্তি সম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতেপারেবস্তুতঃ চক্ষু তো অন্ধ হয় নাকিন্তু বক্ষ স্থিত অন্তরই অন্ধ হয়

[22:47]

তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান

[22:48]

এবং আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি এমতাবস্থায় যেতারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে

[22:49]

বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী

[22:50]

সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছেতাদের জন্যে আছে পাপ মার্জনা এবং সম্মানজনক রুযী

[22:51]

এবং যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্যে চেষ্টা করেতারাই দোযখের অধিবাসী

[22:52]

আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছিতারা যখনই কিছু কল্পনা করেছেতখনই শয়তান তাদেরকল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়প্রজ্ঞাময়

[22:53]

এ কারণে যেশয়তান যা মিশ্রণ করেতিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেনতাদের জন্যেযাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণহৃদয়। গোনাহগাররা দূরবর্তী বিরোধিতায় লিপ্ত আছে

[22:54]

এবং এ কারণেও যেযাদেরকে জ্ঞানদান করা হয়েছেতারা যেন জানে যে এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্যঅতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাস স্তাপন করে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি বিজয়ী হয়। আল্লাহই বিশ্বাস স্থাপনকারীকে সরল পথ প্রদর্শন করেন

[22:55]

কাফেররা সর্বদাই সন্দেহ পোষন করবে যে পর্যন্ত না তাদের কাছে আকস্মিকভাবে কেয়ামত এসে পড়ে অথবা এসে পড়েতাদের কাছে এমন দিবসের শাস্তি যা থেকে রক্ষার উপায় নেই

[22:56]

রাজত্ব সেদিন আল্লাহরইতিনিই তাদের বিচার করবেন। অতএব যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে তারা নেয়ামত পূর্ণ কাননে থাকবে

[22:57]

এবং যারা কুফরি করে এবং আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা বলে তাদের জন্যে লাঞ্ছনাকর শাস্তি রয়েছে

[22:58]

যারা আল্লাহর পথে গৃহ ত্যাগ করেছেএরপর নিহত হয়েছে অথবা মরে গেছেআল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই উৎকৃষ্ট জীবিকাদান করবেন এবং আল্লাহ সর্বোৎকৃষ্ট রিযিক দাতা

[22:59]

তাদেরকে অবশ্যই এমন এক স্থানে পৌছাবেনযাকে তারা পছন্দ করবে এবং আল্লাহ জ্ঞানময়সহনশীল

[22:60]

এ তো শুনলেযে ব্যক্তি নিপীড়িত হয়ে নিপীড়ন পরিমাণে প্রতিশোধ গ্রহণ করে এবং পুনরায় সে নিপীড়িত হয়আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী ক্ষমাশীল

[22:61]

এটা এ জন্যে যেআল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেনদেখেন

[22:62]

এটা এ কারণেও যেআল্লাহই সত্যআর তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকেতা অসত্য এবং আল্লাহই সবার উচ্চেমহান

[22:63]

তুমি কি দেখ না যেআল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেনঅতঃপর ভূপৃষ্ট সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠে। নিশ্চয় আল্লাহসুক্ষদর্শীসর্ববিষয়ে খবরদার

[22:64]

নভোমন্ডল ও ভুপৃষ্ঠে যা কিছু আছেসব তাঁরই এবং আল্লাহই অভাবমুক্ত প্রশংসার অধিকারী

[22:65]

তুমি কি দেখ না যেভূপৃষ্টে যা আছে এবং সমুদ্রে চলমান নৌকা তৎসমুদয়কে আল্লাহ নিজ আদেশে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেনযাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীলদয়াবান

[22:66]

তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেনঅতঃপর তিনিই তোমাদেরকে মৃত্যুদান করবেন ও পুনরায় জীবিত করবেন। নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ

[22:67]

আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছিযা তারা পালন করে। অতএব তারাযেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন

[22:68]

তারা যদি আপনার সাথে বিতর্ক করেতবে বলে দিনতোমরা যা করসে সর্ম্পকে আল্লাহ অধিক জ্ঞাত

[22:69]

তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করছআল্লাহ কিয়ামতের দিন সেই বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করবেন

[22:70]

তুমি কি জান না যেআল্লাহ জানেন যা কিছু আকাশে ও ভুমন্ডলে আছে এসব কিতাবে লিখিত আছে। এটা আল্লাহর কাছে সহজ

[22:71]

তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর পূজা করেযার কোন সনদ নাযিল করা হয়নি এবং সে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞাননেই। বস্তুতঃ জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই

[22:72]

যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয়তখন তুমি কাফেরদের চোখে মুখে অসন্তোষের লক্ষণপ্রত্যক্ষ করতে পারবে। যারা তাদের কাছে আমার আয়াত সমূহ পাঠ করেতারা তাদের প্রতি মার মুখো হয়ে উঠে। বলুনআমি কি তোমাদেরকে তদপেক্ষা মন্দ কিছুর সংবাদদেবতা আগুনআল্লাহ কাফেরদেরকে এর ওয়াদা দিয়েছেন। এটা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল

[22:73]

হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলোঅতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোনতোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা করতারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে নাযদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে নাপ্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়উভয়েই শক্তিহীন

[22:74]

তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধরমহাপরাক্রমশীল

[22:75]

আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতাসর্ব দ্রষ্টা!

[22:76]

তিনি জানেন যা তাদের সামনে আছে এবং যা পশ্চাতে আছে এবং সবকিছু আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে

[22:77]

হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু করসেজদা করতোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন করযাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [ Sajdah ]

[22:78]

তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এইকোরআনেওযাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম করযাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী